ঢাকা ১০:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিন দিনেও সন্ধান মেলেনি অপহৃত ১৫ জেলের

বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৩০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বঙ্গোপসাগরের মান্দারবাড়িয়া এলাকা থেকে গত রবিবার রাতে দস্যুদের হাতে অপহৃত ১৫ জেলেকে উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে দুবলা ফিশারমেন গ্রুপ। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি)  বিকেলে আলোরকোল শুঁটকি পল্লী থেকে মোবাইলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন করে এতথ্য জানিয়েছেন ফিশারমেন গ্রুপের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

সংবাদ সম্মলন শেষে জেলেদের উদ্ধার ও দস্যুদৃনে দ্রুত অভিযান পরিচালনার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবরে একটি স্মারকলিপি ই-মেইলের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।

এদিকে, অস্ত্রসহ আটক তিন দস্যুকে মঙ্গলবার দুপুরে শরণখোলা থানায় হস্তান্তর করেছে কোস্ট গার্ড। এঘটনায় কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের আলোরকোল কন্টিনজেন্ট কমান্ডার (সিসি) মো.  জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। থানার ওসি মো. শহীদুল্লাহ এতথ্য জানিয়েছেন।

অপরদিকে, তিন দিনেও অপহৃত জেলেদের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় শুঁটকি পল্লীতে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। দস্যুদের পক্ষ থেকেও মুক্তিপণের জন্য জেলেদের পরিবার বা মহাজনদের সাথে এখন পর্যন্ত  যোতাযোগ করেনি।

জেলে অপহরণের ঘটনায় দীর্ঘ ছয় বছর পর নতুন করে আবার দস্যু আতঙ্কে ভুগছেন দুবলার বিশেষ টহল ফাঁড়ির অধীনে শুঁটকি উৎপাদনকারী চারটি চরের প্রায় ১২ হাজার জেলে ও তাদের মহাজনরা।

অপহৃত জেলেরা হলেন শাহআলম, আজাহারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, আরাফাত হোসেন, আলমগীর হোসেন, শাহাজান গাজী, রাসেল, শাহজাহান ঢালী, হাফিজুর রহমান, শাহীনুর আলম, ,মতিয়ার সরদার, খান রফিক, রিপন মোড়ল, নুরে আলম, ও নাথন বিশ্বাস।  এদের বাড়ি খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায়। অপহৃত জেলেরা দুবলার আলোরকোল চরে অবস্থান নিয়ে সাগরে মাছ শিকার ও শুঁটকি প্রক্রিয়া কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

এব্যাপারে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, দুবলার চরের অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বনরক্ষীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে কোস্ট গার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

তিন দিনেও সন্ধান মেলেনি অপহৃত ১৫ জেলের

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৩০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

বঙ্গোপসাগরের মান্দারবাড়িয়া এলাকা থেকে গত রবিবার রাতে দস্যুদের হাতে অপহৃত ১৫ জেলেকে উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে দুবলা ফিশারমেন গ্রুপ। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি)  বিকেলে আলোরকোল শুঁটকি পল্লী থেকে মোবাইলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন করে এতথ্য জানিয়েছেন ফিশারমেন গ্রুপের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

সংবাদ সম্মলন শেষে জেলেদের উদ্ধার ও দস্যুদৃনে দ্রুত অভিযান পরিচালনার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবরে একটি স্মারকলিপি ই-মেইলের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।

এদিকে, অস্ত্রসহ আটক তিন দস্যুকে মঙ্গলবার দুপুরে শরণখোলা থানায় হস্তান্তর করেছে কোস্ট গার্ড। এঘটনায় কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের আলোরকোল কন্টিনজেন্ট কমান্ডার (সিসি) মো.  জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। থানার ওসি মো. শহীদুল্লাহ এতথ্য জানিয়েছেন।

অপরদিকে, তিন দিনেও অপহৃত জেলেদের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় শুঁটকি পল্লীতে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। দস্যুদের পক্ষ থেকেও মুক্তিপণের জন্য জেলেদের পরিবার বা মহাজনদের সাথে এখন পর্যন্ত  যোতাযোগ করেনি।

জেলে অপহরণের ঘটনায় দীর্ঘ ছয় বছর পর নতুন করে আবার দস্যু আতঙ্কে ভুগছেন দুবলার বিশেষ টহল ফাঁড়ির অধীনে শুঁটকি উৎপাদনকারী চারটি চরের প্রায় ১২ হাজার জেলে ও তাদের মহাজনরা।

অপহৃত জেলেরা হলেন শাহআলম, আজাহারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, আরাফাত হোসেন, আলমগীর হোসেন, শাহাজান গাজী, রাসেল, শাহজাহান ঢালী, হাফিজুর রহমান, শাহীনুর আলম, ,মতিয়ার সরদার, খান রফিক, রিপন মোড়ল, নুরে আলম, ও নাথন বিশ্বাস।  এদের বাড়ি খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায়। অপহৃত জেলেরা দুবলার আলোরকোল চরে অবস্থান নিয়ে সাগরে মাছ শিকার ও শুঁটকি প্রক্রিয়া কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

এব্যাপারে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, দুবলার চরের অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বনরক্ষীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে কোস্ট গার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হব।