টাঙ্গাইলে আ’ লীগ সভাপতি-সম্পাদকের নামে মামলা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৮:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০৪ বার পড়া হয়েছে
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৩০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত (৪ আগস্ট) ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত যুবক লাল মিয়া বাদী হয়ে টাঙ্গাইল থানায় শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে মামলাটি দায়ের করেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লোকমান হোসেন রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার বাদী লাল মিয়া (৩০) কালিহাতী উপজেলার চিনামুড়া গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুককে হুকুমদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
অপর ২২৯ আসামির মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের ছাড়াও মামলায় রয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, শাহজাহান আনছারী ও কুদরত এলাহী খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সোলায়মান হাসান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মাহমুদ তারেক পুলু, উপদপ্তর সম্পাদক আনন্দ মোহন দে।
আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছে- টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র হাফিজুর রহমান স্বপন, সাবেক কাউন্সিলর সাজ্জাদ আহমেদ, কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মোল্লা, এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র নুর এ আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ৪ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে ছাত্র আন্দোলনের মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের জেলা সদর সড়কের বিবেকানন্দ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে পৌঁছলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শটগান, পিস্তলসহ আগ্নেয়াস্ত্র এবং চাপাতি, রামদা, কুড়ালসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে আসামিরা মিছিলে হামলা করেন। তাদের ছোড়া গুলি বাদীর বাঁ পায়ের হাটুর নিচে বিদ্ধ হয়। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানেও তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উল্লেখ্য,৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর জেলা সদর, মির্জাপুর ও সখীপুর থানায় তিনটি হত্যা মামলা হয়েছে। এসব মামলায় জেলার ৮ জন সাবেক এমপিসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ’ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।