ঢাকা ১০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝুট ব্যবসার আধিপত্য নি‌য়ে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৪৯:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে জুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে মহানগরীর কোনাবাড়ি জরুন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- আলম খন্দকার, বাদল খন্দকার, শামীম খন্দকার, জহিরুল খন্দকার ও বাবুল হোসেন।

স্থানীয়রা জানায়, কোনাবাড়ীর জরুন এলাকায় এসট্রো নিটওয়্যার নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা ঝুটের ব্যবসা করে আসছিলেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কারখানাটি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। এসট্রো নিটওয়্যার কারখানার ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা করেন নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মো. সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বিপ্লব খান। তাঁদের নেতৃত্বে এক দল লোক ওই কারখানা থেকে আজ সকালে ঝুট মাল বের করতে যান। তখন বিএনপির সাবেক নেতা জহিরুল ইসলাম ও বাবুল হোসেনের নেতৃত্বে দলের ১০-১৫ জন তাঁদের বাধা দেন। এ সময়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা ও কুপিয়ে জখম করা হয়। এতে পাঁচজন আহত হন।

আহতদের সঙ্গে হাসপাতালে থাকা আরিফ খন্দকার বলেন, আওয়ামিলীগের প্রেতাত্মা রিপন গার্মেন্টসের এমডি ফারুক ইনি সন্ত্রাসী লালনপালন করে। আমরা তাদের থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে জরুন খেলার মাঠে বসে ছিলাম। তখন তার লোকজন এসে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনাবাড়ি থানা ৭ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বিপ্লব খান বলেন, ঘটনার সময় আমি আর হাবিব সেখানে ছিলাম না। আমরা ছিলাম আরেক জায়গায়। আমরা এখানে পরে আসছি। ওখানে বিএনপির সাবেক নেতা সিরাজ এর বাহিনির লোকজন চলে এসে গন্ডগোল করে।

এ ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ছোট একটি ঘটনা ঘটেছে৷ আহতদের হাসপাতালে ভর্তি আছে। এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ঝুট ব্যবসার আধিপত্য নি‌য়ে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৪৯:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে জুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে মহানগরীর কোনাবাড়ি জরুন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- আলম খন্দকার, বাদল খন্দকার, শামীম খন্দকার, জহিরুল খন্দকার ও বাবুল হোসেন।

স্থানীয়রা জানায়, কোনাবাড়ীর জরুন এলাকায় এসট্রো নিটওয়্যার নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা ঝুটের ব্যবসা করে আসছিলেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কারখানাটি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। এসট্রো নিটওয়্যার কারখানার ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা করেন নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মো. সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বিপ্লব খান। তাঁদের নেতৃত্বে এক দল লোক ওই কারখানা থেকে আজ সকালে ঝুট মাল বের করতে যান। তখন বিএনপির সাবেক নেতা জহিরুল ইসলাম ও বাবুল হোসেনের নেতৃত্বে দলের ১০-১৫ জন তাঁদের বাধা দেন। এ সময়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা ও কুপিয়ে জখম করা হয়। এতে পাঁচজন আহত হন।

আহতদের সঙ্গে হাসপাতালে থাকা আরিফ খন্দকার বলেন, আওয়ামিলীগের প্রেতাত্মা রিপন গার্মেন্টসের এমডি ফারুক ইনি সন্ত্রাসী লালনপালন করে। আমরা তাদের থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে জরুন খেলার মাঠে বসে ছিলাম। তখন তার লোকজন এসে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনাবাড়ি থানা ৭ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বিপ্লব খান বলেন, ঘটনার সময় আমি আর হাবিব সেখানে ছিলাম না। আমরা ছিলাম আরেক জায়গায়। আমরা এখানে পরে আসছি। ওখানে বিএনপির সাবেক নেতা সিরাজ এর বাহিনির লোকজন চলে এসে গন্ডগোল করে।

এ ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ছোট একটি ঘটনা ঘটেছে৷ আহতদের হাসপাতালে ভর্তি আছে। এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি।