ঢাকা ১০:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গৌরনদী প্রেসক্লাবের আহবায়ককে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য , সাইবার ট্রাইবুন্যালে মামলা

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৫৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫ ১৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা, অপমানজনক ও মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগে বরিশালের প্রবীণ সাংবাদিক ও গৌরনদী প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বুধবার (১৪মে) একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় গৌরনদী পৌরসভার আশোকাঠি গ্রামের মৃত মোস্তফা ফকিরের ছেলে টিএম তুহিন ওরফে তুহিন ফকিরকে আসামী করা হয়েছে। তুহিন “এখনই সময়” নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের নির্বাহী সম্পাদক বলে জানা গেছে। বাদী পক্ষের আইনজীবি এইচএম মিজানুর রহমান পিকু জানিয়েছেন, বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক মামলাটি আমলে নিয়ে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গৌরনদী পৌরসভার আশোকাঠি গ্রামের মৃত মোস্তফা ফকিরের ছেলে টিএম তুহিন ওরফে তুহিন ফকির (৩৮) তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একাধিক অশালীন, কটুক্তি পূর্ণ, ও মিথ্যা পোস্ট করেন। এসব পোস্টে সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন মিয়া, তার পরিবার এবং এলাকার এক মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন, অবমাননাকর এবং আপত্তিকর ভাষায় মন্তব্য করা হয়।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৮ মে গৌরনদীতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা বক্তব্য রাখেন। এতে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকগণ অংশগ্রহণ করেন এবং সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর অভিযুক্ত তুহিন ফকির ওই সংবাদকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে একাধিক পোস্টে গিয়াস উদ্দিন মিয়াকে মাদক ব্যবসায়ী, অনৈতিকভাবে অর্থ উপার্জনকারী বলে অপপ্রচার চালান। একইসঙ্গে তিনি সংবাদ সম্মেলনকারী মুক্তিযোদ্ধাকে কটাক্ষ করে কুক বলেও আক্রমণ করেন।

এ ঘটনায় প্রবীণ সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন মিয়া বলেন, আমি চার দশক ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত। আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের অপপ্রচার আমার ও আমার পরিবার সামাজিক ও পেশাগত মর্যাদাকে আঘাত করেছে।

তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত তুহিন ফকির বর্তমানে কোনো বৈধ গণমাধ্যমে কর্মরত নন এবং সাংবাদিকতার কোনও বৈধ পরিচয়পত্র বা প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতিও নেই।

প্রসঙ্গত, সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন মিয়া বিগত ৩৮ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত। তিনি দৈনিক ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, সমকাল ও প্রথম আলোর মতো জাতীয় পত্রিকায় কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি মাইটিভির গৌরনদী প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ও গৌরনদী প্রেসক্লাবের চারবারের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে তিনি প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে টিএম তুহিন বলেন, আমি কারো নাম ম্যানশন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করি নাই। এরপরও কেই আমার বিরুদ্ধে মামলা দিলে তা আইনি ভাবে মোকাবেলা করা হবে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, মামলার কপি এখন পর্যন্ত হাতে পাইনি। কপি হাতের পাওয়ার পর তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

গৌরনদী প্রেসক্লাবের আহবায়ককে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য , সাইবার ট্রাইবুন্যালে মামলা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৫৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা, অপমানজনক ও মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগে বরিশালের প্রবীণ সাংবাদিক ও গৌরনদী প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বুধবার (১৪মে) একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় গৌরনদী পৌরসভার আশোকাঠি গ্রামের মৃত মোস্তফা ফকিরের ছেলে টিএম তুহিন ওরফে তুহিন ফকিরকে আসামী করা হয়েছে। তুহিন “এখনই সময়” নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের নির্বাহী সম্পাদক বলে জানা গেছে। বাদী পক্ষের আইনজীবি এইচএম মিজানুর রহমান পিকু জানিয়েছেন, বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক মামলাটি আমলে নিয়ে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গৌরনদী পৌরসভার আশোকাঠি গ্রামের মৃত মোস্তফা ফকিরের ছেলে টিএম তুহিন ওরফে তুহিন ফকির (৩৮) তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একাধিক অশালীন, কটুক্তি পূর্ণ, ও মিথ্যা পোস্ট করেন। এসব পোস্টে সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন মিয়া, তার পরিবার এবং এলাকার এক মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন, অবমাননাকর এবং আপত্তিকর ভাষায় মন্তব্য করা হয়।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৮ মে গৌরনদীতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা বক্তব্য রাখেন। এতে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকগণ অংশগ্রহণ করেন এবং সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর অভিযুক্ত তুহিন ফকির ওই সংবাদকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে একাধিক পোস্টে গিয়াস উদ্দিন মিয়াকে মাদক ব্যবসায়ী, অনৈতিকভাবে অর্থ উপার্জনকারী বলে অপপ্রচার চালান। একইসঙ্গে তিনি সংবাদ সম্মেলনকারী মুক্তিযোদ্ধাকে কটাক্ষ করে কুক বলেও আক্রমণ করেন।

এ ঘটনায় প্রবীণ সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন মিয়া বলেন, আমি চার দশক ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত। আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের অপপ্রচার আমার ও আমার পরিবার সামাজিক ও পেশাগত মর্যাদাকে আঘাত করেছে।

তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত তুহিন ফকির বর্তমানে কোনো বৈধ গণমাধ্যমে কর্মরত নন এবং সাংবাদিকতার কোনও বৈধ পরিচয়পত্র বা প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতিও নেই।

প্রসঙ্গত, সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন মিয়া বিগত ৩৮ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত। তিনি দৈনিক ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, সমকাল ও প্রথম আলোর মতো জাতীয় পত্রিকায় কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি মাইটিভির গৌরনদী প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ও গৌরনদী প্রেসক্লাবের চারবারের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে তিনি প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে টিএম তুহিন বলেন, আমি কারো নাম ম্যানশন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করি নাই। এরপরও কেই আমার বিরুদ্ধে মামলা দিলে তা আইনি ভাবে মোকাবেলা করা হবে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, মামলার কপি এখন পর্যন্ত হাতে পাইনি। কপি হাতের পাওয়ার পর তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।