ঢাকা ০৯:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোয়েন্দা প্রতিবেদন পেলেই ৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:২৫:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

৪৩তম বিসিএসের সব কার্যক্রম শেষ। এখন নিয়োগের অপেক্ষায় প্রার্থীরা। কখন প্রজ্ঞাপন হবে এ নিয়ে উৎকণ্ঠায় তারা। এ সময়ে তাদের প্রতি বার্তা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীন ৮ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যেসব কাজ করেছে, তার একটি বিবরণ প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হয়।

তাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছে, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য উপস্থিত হওয়ার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসীদের হাতে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ আছে। যারা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উপস্থিত হতে পারেননি, তাদের পুনরায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা গ্রহণের জন্য পিএসসি ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৫৫ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে প্রাপ্ত তথ্য পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে যাচাই-বাছাই করার জন্য স্পেশাল ব্রাঞ্চে (এসবি) পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ামাত্র নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

৪৩তম বিসিএস থেকে দুই হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের জন্য নয় মাস আগে সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। কিন্তু এখনো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় নিয়োগের আশায় বসে থেকে হতাশ হয়ে পড়েছেন সুপারিশপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীরা। দ্রুত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন সুপারিশপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীরা।

২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএস থেকে দুই হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। সিদ্ধান্ত অনুসারে, দুই হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে এবং ৬৪২ জনকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বরে। সেই হিসাবে সাড়ে ৩ বছর পার হয়ে গেলেও চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি।

৪৩তম বিসিএসে দুই হাজার ১৬৩ জন ক্যাডার পদের মধ্যে সর্বোচ্চ শিক্ষা ক্যাডারে ৮০৩ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০ জন, প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫ জন,কর ক্যাডারে ১০১ জন, তথ্য ক্যাডারে ৪৩ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জনে ৭৫ জনকে সুপারিশ করা হয়।

২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর দেশের সব বিভাগীয় শহরে একযোগে ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি প্রিলিমিনারির ফলাফল প্রকাশিত হয়, যাতে উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ২২৯ প্রার্থী। ২০২২ সালের জুলাইয়ে পিএসসি লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে এবং ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে, এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

গোয়েন্দা প্রতিবেদন পেলেই ৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:২৫:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

৪৩তম বিসিএসের সব কার্যক্রম শেষ। এখন নিয়োগের অপেক্ষায় প্রার্থীরা। কখন প্রজ্ঞাপন হবে এ নিয়ে উৎকণ্ঠায় তারা। এ সময়ে তাদের প্রতি বার্তা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীন ৮ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যেসব কাজ করেছে, তার একটি বিবরণ প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হয়।

তাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছে, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য উপস্থিত হওয়ার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসীদের হাতে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ আছে। যারা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উপস্থিত হতে পারেননি, তাদের পুনরায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা গ্রহণের জন্য পিএসসি ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৫৫ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে প্রাপ্ত তথ্য পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে যাচাই-বাছাই করার জন্য স্পেশাল ব্রাঞ্চে (এসবি) পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ামাত্র নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

৪৩তম বিসিএস থেকে দুই হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের জন্য নয় মাস আগে সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। কিন্তু এখনো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় নিয়োগের আশায় বসে থেকে হতাশ হয়ে পড়েছেন সুপারিশপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীরা। দ্রুত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন সুপারিশপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীরা।

২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএস থেকে দুই হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। সিদ্ধান্ত অনুসারে, দুই হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে এবং ৬৪২ জনকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বরে। সেই হিসাবে সাড়ে ৩ বছর পার হয়ে গেলেও চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি।

৪৩তম বিসিএসে দুই হাজার ১৬৩ জন ক্যাডার পদের মধ্যে সর্বোচ্চ শিক্ষা ক্যাডারে ৮০৩ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০ জন, প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫ জন,কর ক্যাডারে ১০১ জন, তথ্য ক্যাডারে ৪৩ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জনে ৭৫ জনকে সুপারিশ করা হয়।

২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর দেশের সব বিভাগীয় শহরে একযোগে ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি প্রিলিমিনারির ফলাফল প্রকাশিত হয়, যাতে উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ২২৯ প্রার্থী। ২০২২ সালের জুলাইয়ে পিএসসি লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে এবং ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে, এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন।