আজীবন নিষিদ্ধ ৪৩ ফুটবলার
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:১০:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩০ বার পড়া হয়েছে
চীনে জুয়া ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছে ৪৩ জন ফুটবলার। চায়নিজ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আজীবনের জন্য তাদের নিষেধাজ্ঞা দেয়।
নিষিদ্ধ হওয়ার তালিকায় রয়েছে চীন জাতীয় দলের সাবেক তিন ফুটবলার। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার জার্সিতে কাতার বিশ্বকাপে অংশ নেয়া সন জুন-হোও রয়েছে নিষেধাজ্ঞার তালিকায়। সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করে চীনের রাষ্ট্রীয়ত্ গণমাধ্যম।
ক্রীড়াঙ্গনকে দুর্নীতি মুক্ত করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ জন্য কারাগারে যেতে হয় অনেক কর্মকর্তাকে।
দেশটির জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুই বছর ধরে দেশীয় খেলায় অবৈধ জুয়া ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের তদন্ত করা হচ্ছে। এতে ১২৮ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর এই তালিকার ৪৩ জনকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়। নিষিদ্ধ হওয়াদের মধ্যে বেশিরভাগই সাবেক পেশাদার খেলোয়াড়।
২০২১ থেকে ২০২৩, এ তিন মৌসুম চায়নিজ সুপার লিগে খেলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে কাতার বিশ্বকাপের তিন ম্যাচে মাঠে নামা সন জুন হো। শানডং তাইশানের হয়ে খেলার সময় তিনি ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েন। এ ছাড়া ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
২০২৩ সালের মে মাসে আটক হন। এরপর ১০ মাস জেলও খাটেন। চলতি বছর মার্চে তাকে ফেরত পাঠায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ দিকে নিষেধাজ্ঞার খবরে হতভম্ব হয়ে পড়েছেন সনের প্রতিনিধি।
নিষিদ্ধ হওয়ার ফুটবলারদের তালিকায় আরও রয়েছে মিডফিল্ডার চিং চিংডাও, জাতীয় দলের সাবেক গোলকিপার গু চাও এবং ফরোয়ার্ড গুয়ো তিয়ানয়ু। ফুটবলাররা ছাড়াও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় সিএফএর প্রায় ১০ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে অপসারণ করা হয়।
এ ছাড়া গত মার্চে বিপুল পরিমাণে ঘুষ নেওয়ার দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন সিএফএর সাবেক চেয়ারম্যান চেন সুইউয়ান।
চলতি বছরের মার্চে দোষ স্বীকার করেন চীন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ লি তিয়েও। ম্যাচ ফিক্সিংয়ে সহায়তা করতে ১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২৮ কোটি টাকা) ঘুষ নিয়েছিলেন তিনি।
এছাড়া গত মে মাস থেকে চীনের ক্রীড়া প্রশাসনের সাবেক মহাপরিচালক গু জংওয়েনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চলছে। আর গত আগস্টে ঘুষ নেয়ার দায়ে সিএএফএর সহসভাপতি লি ইউয়িকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির এক আদালত।